দেরিতে ব্রেকফাস্ট: হতে পারে নানা অসুখ

সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজ আর কাজ। ব্রেকফাস্টের কথা মনেই থাকে না। অনেকটা বেলা করে তারপর কিছু মুখে দেওয়া। অনেক সময় একেবারে ভাত খেয়ে নেওয়া। এটা বাঙালির প্রায় প্রতিটি ঘরের চিত্র। কিন্তু এটাই বাঙালির সব থেকে বড় রোগ, বলছেন চিকিৎসকরা।

অনেকে রাতে দেরি করে খান ও দেরি করে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে আর ব্রেকফাস্টের সময় থাকে না। একেবারে অফিস যাওয়ার আগে কিছু মুখে দেওয়া। এটা শরীরের স্থায়ী তি করে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

তাদের বক্তব্য, অনেকেই রাত ১১টা বাজিয়ে রাতের খাবার খান। পর দিন দেরিতে ঘুম ভাঙায় কাজে বেরিয়ে যান ব্রেকফাস্ট না করেই। দিনের প্রথম খাবার খেতে খেতে বেলা ১১টা হয়ে যায়। মানে, টানা ১২ ঘণ্টা খালি পেটে থাকা হয়ে যায়। আবার খালি পেটে অনেকেই কাপের পর কাপ চা খেয়ে নেন। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এর ফলে ছয়টি মারাত্মক শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

মধুমেহ:
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে আগামী দিনে অনেক খাবারই জীবন থেকে বাদ দিতে হতে পারে। কারণ এর থেকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

স্থুলতা:
এই সময়ের বড় অসুখ ওবেসিটি বা স্থুলতা। অনেকেই মনে করেন, খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকাই স্থুলতার বড় কারণ।

হার্টের সমস্যা:
যারা সঠিক সময়ে ব্রেকফাস্ট করেন, তাদের হৃদরোগের সমস্যা কম হয়। এমনটাই বলছে গবেষণা। ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হয়। এই সব সমস্যা হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়।

মাইগ্রেন:
ব্রেকফাস্ট বাদ দেন বা দেরিতে যারা করেন, তাদের মধ্যে মাইগ্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ভালোভাবে খেয়ে নেওয়া একান্ত জরুরি।

অবসাদ:
পেটের সঙ্গে যে মনের যোগ রয়েছে সেটা অনেকেই মানতে চান না। কিন্তু মনে রাখবেন, অনেক সময় খিদে সহ্য করে থাকলে মনের ওপরেও চাপ পড়ে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। স্থায়ী অবাসাদ তৈরি করে।

স্মৃতিলোপ:
গবেষণা বলছে, দেরিতে ব্রেকফাস্ট দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। কাজের দতাও কমতে থাকে।

আজকের বাজার: আরআর/ ২৫ এপ্রিল ২০১৭