মাছের বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্ব দিতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মাছের বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, মাছ থেকে অনেক কিছু তৈরি করা সম্ভব। মাছ থেকে ‘রেডি টু কুক’, ‘রেডি টু ইট’-সহ নানা পণ্য তৈরি করতে হবে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও সমাপনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে সামনে আরও অনেক কাজ করতে হবে। শিশুসহ পরিবারের অনেকেই এখন সরাসরি রান্না মাছ খেতে চায় না। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অনেকেই মাছ খেতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা ও সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের মৎস্য খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মৎস্য খাতের উন্নয়ন ধরে রাখতে না পারলে দেশে বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি করা, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতি সংকটে পড়বে।
দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবারের মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্য মানুষকে মৎস্য খাতে খাতে উদ্দীপ্ত করা, অনুপ্রাণিত করা, মৎস্যসম্পদ রক্ষায় জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করার বিষয়টি এ বছর সফলভাবে করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন সম্পর্কিত উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক অলক কুমার সাহা।
উল্লেখ্য, ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর ২৪ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন করা হয়। (বাসস)