গত অর্থবছরে সরকারি খরচে ৭৫ হাজার জনকে আইনী সেবা প্রদান

গত অর্থবছরে (জুলাই’ ১৭-জুন’১৮) জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা তথা লিগ্যাল এইড ৭৫ হাজার ৯’শ ১২ জন সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা গ্রহণ করেছেন।
এ সময়ে বিচারপ্রার্থীদের অনূকুলে ক্ষতিপূরণ আদায় ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার ৮২ টাকা। সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘সরকারী আইনি সহায়তা কার্যক্রমের তথ্য পরিসংখ্যান’- থেকে তা জানা গেছে।
গত ২৮ এপ্রিল সপ্তমবারের মতো দেশে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান/ বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনি সেবাদান।’
উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ/ লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে রেখে ২০১৮ সালে ২৮ এপ্রিল দেশব্যাপি পালিত হয় ষষ্ট ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার সহকারি পরিচালক (প্রশসান) ও সিনিয়র সহকারি জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র ও অসমর্থ জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আইন প্রণয়নের মধ্যদিয়ে সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম শুরু করে।
পরে এই আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়। বিধিতে কারা আইনি সহায়তা পাবেন তা নির্ধারণ করা হয়। দেশের সবক’টি জেলা আদালত, চৌকি আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড সার্ভিস চালু রয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পক্ষসমূহের সম্মতির ভিত্তিতে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটির প্রথম অনুষ্ঠান ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিগ্যাল এইড কল সেন্টার ‘জাতীয় হেল্পলাইন’-এর উদ্বোধন করেন। এ হেল্পলাইনে ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।