চোখে না দেখেও যাকে নেতা হিসেবে বুকে ঠাঁই দেয়া যায়, যার ডাকে সাড়া দেয়া যায় সেই নেতাই হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ রোববার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতাপর্বে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. পবিত্র সরকার এ কথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতামালার আয়োজন করে। তিনি বলেন,‘হিন্দু-মুসলমান মিলে যে একযোগে মাঠে নেমে আসা যায় তা বুঝতে পারছি বঙ্গবন্ধুর মত নেতার ডাকের মাধ্যমে।’
বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতামালায় নাট্যসমালোচক ও সংস্কৃতিবিদ অংশুমান ভৌমিক বলেন, ডাকে’র অনেক মানে। ডাকের দৌলতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের খবর উড়ে এসেছে কলকাতায়। তেমনি এক ডাক বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো/বাংলাদেশ স্বাধীন করো। এই ডাক শুনতে শুনতে ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে এসেছিলেন। শুধু পূর্ব বাংলায় নয়, পশ্চিম বাংলাতেও এই ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সংস্কৃতি কর্মীরা।
পবিত্র সরকার বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের কাছে যখন খবর পৌছলো বাংলায় স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ছয়দফা থেকেই আমাদের অনুমান করা উচিত ছিল। আমরা কেউ বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, কিন্তু তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম। আমরা তখন শিকাগোতে বসবাসকারী কয়েকজন মিলে একটি সংগঠন করেছিলাম। সংগঠনের ডাক দিতাম ডিনার ডেকে। কারণ ওখানে ডিনারে খুব প্রচলন। এছাড়াও অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, এভাবে প্রায় ১০ হাজার ডলার তুললাম। যে অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে বাংলার মুক্তিযুদ্ধের জন্য অস্ত্র, রাবারের নৌকা এবং ডুবরীদের জন্য পোষাক কিনে পাঠিয়েছি। যুদ্ধের জন্য জীবন দিতে পারিনাই, কিন্তু চেষ্টা করেছি কিছু একটা করার জন্য।
অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সচিব বদরুল আনম ভূইয়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান