বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন: সাম্প্রতিক অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের জিডিপির আকার প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলার৷ যেখানে পুঁজিবাজারের বাজার মূলধন ৫০ বিলিয়ন ডলার৷ দেশের বাজার মূলধনের জিডিপি অনুপাত মাএ ১৮ শতাংশ। একটি দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান কমপক্ষে ৪০ শতাংশ হওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন উন্নত দেশে এটি ১০০ শতাংশের অধিক৷ বাংলাদেশের জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে৷ বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভাবশালী মাধ্যম। একটি উন্নত অর্থনীতি হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থানকে প্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান পুঁজিবাজারের অবস্থা বিনিয়োগকারীগনের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক ও আশাব্যঞ্জক।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপি (১৯ মার্চ ২০১৯) “বাংলাদেশের পুজিবাজারের উন্নয়ন: সাম্প্রতিক অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা” শীর্ষক সেমিনারে মূলবক্তা হিসেবে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান এসব কথা বলেন। ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর এম ওমর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মিলান প্যাগন (Prof. Milan Pagon) এবং স্কুল অফ বিজনেস এর ডিন অধ্যাপক মোঃ আমিনুল করিম৷ বোর্ড অব ট্রাষ্টি সদস্য রাশেদ চৌধুরী। সেমিনারের শুরুতেই ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর এম ওমর রহমান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

জনাব মাজেদুর রহমান আরো বলেন, গত পাঁচ বছরে পুঁজিবাজার অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছে চীনের শীর্ষস্থানীয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সাথে যুক্ত হওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অগ্রগতির জন্য বড় ধরনের সুযোগ তৈরী হয়েছে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পণ্যের বৈচিত্রতা আনয়নে বহুমূখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খুব শীঘ্রই পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনের প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়ন ও তালিকাভুক্তির জন্য স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম চালু করা হবে। ভবিষতে অ-তালিকাভুক্ত (তালিকাভুক্ত নয় এমন) সিকিউরিটিজ যেমন ওপেন অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ডেট সিকিউরিটিজ, ওয়ারেন্টস, ডেরিভেটিবস লেনদেনের জন্য অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)চালু করা হবে।

ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন/বিধির প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজারে নতুন প্রোডাক্ট লেনদেনের পথ সুগম হবে। যা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এই বহুমুখী বাজার পরিস্থিতিতে নতুনদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উন্নত ও গৌরবান্বিত করতে সহায়তা করবে।
পরিশেষে ইন্ডিপেডেন্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাষ্টি সদস্য রাশেদ চৌধুরী একটি উন্নত পুঁজিবাজার গঠনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।