কোটা সংস্কার আন্দোলন

দুদিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সহিংসতা ও পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের করা মামলা আগামী ২ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে  বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ স্মেলন থেকে নেতারা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল জামায়াত-শিবির পরিচয় দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। এটি পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এটি করা হচ্ছে।

জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের বাসায় হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে চারটি মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। এই মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

নেতারা বলেন, এ ধরনের সংবাদ প্রচার করা হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা যদি এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি, পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। তারা ইতিবাচক পেয়েছে বলেই আমাদের আন্দোলনে কোনো বাধা দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীও আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আমাদের ভিন্ন পরিচয় দিয়ে আন্দোলন ভিন্নপথে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ইত্তেফাকে আমাকে জামাত-শিবির পরিচয় দিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে সূর্যসেন হলের ৫০৫ নম্বর রুমে থাকতাম। কিন্তু আমি ২০১৩ সালে সেখানে থাকা শুরু করি। প্রতিবেদনে আমার বাবার নামও ভুল লেখা হয়েছে। পুরো প্রতিবেদনই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভরা।

সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। এবং আমি মহসীন হলে ছাত্রলীগের সহসভাপতি। আমি সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। কেউ যদি আমাকে সন্দেহ করে থাকেন, তাহলে আমার পরিবারে খবর নিতে পারেন।

সংগঠনের নেতারা বলেন, আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে ইত্তেফাক পত্রিকা যদি প্রতিবেদন প্রত্যাহার না করে, কাল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পত্রিকা বর্জন করা হবে। তাঁরা বলেন, উপাচার্য স্যারের বাসায় যে হামলা হয়েছে, আমরাও চাই তার বিচার হোক। এ জন্য আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর, ফারুক আহমেদসহ নেতারা।

আরএম/