এমপিদের শপথ বাতিলের দাবিতে আইনি নোটিশ

দশম জাতীয় সংসদ না ভেঙে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেয়া শপথ এবং তাদের এমপি হিসেবে নিয়োগের গেজেট বাতিল/প্রত্যাহারের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের পক্ষে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ এই আইনি নোটিশ পাঠান।

জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো এই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের এমপিদের শপথ গ্রহণ ও তার গেজেট ১৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিজয়ীরা ওই বছরের ৯ জানুয়ারি এমপি হিসেবে শপথ নেন এবং তারপর ১২ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। দশম জাতীয় সংসদ অধিবেশন আহবান করা হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী প্রথম অধিবেশন থেকে সংসদের মেয়াদ হিসেবে পাঁচ বছর পূর্ণ হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ (৩) ধারা অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশ করে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর স্পিকারের আহ্বানে গত ৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপিরা জাতীয় সংসদ ভবনে শপথ গ্রহণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আগামী ২৮ জানুয়ারি পূর্ববর্তী সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন না। গত ৩ জানুয়ারি যারা সংবিধানের ১৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথ গ্রহণ করে এমপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তারা সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ লংঘন করেছেন। সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি এবং তা ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ওই মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এমপি হিসেবে শপথ ও দায়িত্ব গ্রহণ আইনের লংঘন ও অযৌক্তিক। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ