এসিআই’র ক্রমাগত লোকসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্ত করবে ডিএসই

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এসিআই লিমিটেডের সাম্প্রতিক গতিবিধি তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ। ১২ ফেব্রুয়ারি ডিএসই’র পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন আজকের বাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র মতে, এসিআই’র একজন বিনয়োগকারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সেজন্য এই কমিটি গঠন করা হয়।

বিনয়োগকারীর অভিযোগে বলা হয়েছে, এসিআই’র পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘স্বপ্ন’-তে বড় ধরণের লোকসান রয়েছে। আর এই লোকসান টানতে গিয়ে তাদের মুনাফা ভাল আসছে না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে এমন উচ্চাভিলাসী বিনিয়োগ এবং লোকসানের কোন নৈতিক ভিত্তি আছে কীনা তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছেন বিনিয়োগকারী।

বিনিয়োগকারীর অভিযোগে আরও বলা হয়, এসিআই’র সাম্প্রতিক গতিবিধি বেশ সন্দেহজনক। ৩৬ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানিটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের লোকসানের নামে ৯শ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। বিষয়টা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় এবং বিশ্বাসযোগ্যও নয়। আমাদের সন্দেহ, এসিআই এর মালিকরা স্বপ্ন’র লোকসান দেখিয়ে কোম্পানি থেকে টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। এসিআই গত ১০ বছর ধরে তার রিজার্ভ থেকে লোকসানের বিপরীতে ভর্তুকী দিচ্ছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো বিষয় নয়। স্বপ্ন যদি সত্যিই এতো লোকসান দিয়ে থাকে, তাহলে এসিআই কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল সেটি বন্ধ করে দেওয়া।

ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন আজকের বাজারকে বলেন “এসিআই একটি পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি। এর মালিকানায় সাধারন বিনিয়োগকারীরাও রয়েছেন। কাজেই সাধারন বিনিয়োগকারীর স্বার্থ কিভাবে সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয় আমরা খতিয়ে দেখবো। আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নানা আইনগত দিকও আমরা খোঁজার চেস্টা করবো। যাতে করে এসিআই তো বটেই, অন্যকোন তালিকাভুক্ত কোম্পানিও এধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে।”

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিঞাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান, ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসই’র পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী এবং ডিএসই’র পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: মাসুদুর রহমান।