আদালতের নির্দেশে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নেয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম এবং পুলিশের চার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হক ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
লাশ উত্তোলনের সার্বিক বিষয় তদারকি করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল ও সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
ওসি আব্দুল আলিম জানান, লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ম্যাগাজিন কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবরারের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে দৈনিকটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আবরারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সাথে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া অপমৃত্যু মামলার সাথে তার বাবার নালিশি মামলাটি এক সাথে তদন্ত করতে বলেছে আদালত। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর হাকিম।
আজকের বাজার/এমএইচ
