‘কম্পিউটার বাবা’সহ ৫ বাবাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিল সরকার

ভারতের মধ্যপ্রদেশে রয়েছেন ‘কম্পিউটার বাবা!’ তার আছে হেলিকপ্টার আর ল্যাপটপ। লোকে বলে, মাথাও নাকি কম্পিউটারের মতো তুখোড়, স্মৃতিশক্তিও অসাধারণ। এ কম্পিউটার বাবাসহ ৫ সাধুকে মধ্যপ্রদেশের প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিল দেশটির সরকার।

আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানায়, নর্মদা নদী সুরক্ষায় কাজের জন্য ৩১ মার্চ এই ৫ সাধুকে নদী রক্ষা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কমিটির সদস্য হিসেবে ৫ সন্ন্যাসীকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় নীতি মোতাবেক ধর্মগুরুদের বিশেষ ভাতাও দেওয়া হবে।

কম্পিউটার বাবা স্বামী নামদেব ত্যাগী ছাড়া আর চার জন হলেন, নর্মদানন্দ মহারাজ, হরিহরানন্দ মহারাজ, মার্সিডিজ-আরোহী ভাইয়ু মহারাজ এবং পণ্ডিত যোগেন্দ্র মহন্ত।

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনে ধর্মগুরুদের ধর্মীয় আবেদন ব্যবহার করতে চাইছে সরকার। কংগ্রেসের মুখপাত্র পঙ্কজ চতুর্বেদী বলেন, ‘এটা চটকদারি রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন, এই ভাবে তিনি সমস্ত পাপ ধুয়ে ফেলবেন। নর্মদার তীরে পোঁতা ছ’লক্ষ চারাগাছ কোথায় গেল, সেটি যেন সাধুরা তদন্ত করে দেখেন।’

তবে কংগ্রেসের সমালোচনাকে পাত্তা দিতে রাজি নয় বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র রজনীশ অগ্রবাল বলেন, ‘সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য কিছু করা হলে কংগ্রেস সেটা কখনও ভাল ভাবে নেয় না। পাঁচ সাধুকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যাতে নর্মদা রক্ষার কাজটি তাঁরা ভাল ভাবে চালিয়ে যেতে পারেন।’

গত বুধবার প্রতিবাদী যাত্রা কর্মসূচি বাতিল করে কম্পিউটার বাবা বলেন, আমাদের দাবি মেনে কমিটি গড়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এখন আর যাত্রায় বেরনোর কী দরকার! কিন্তু সাধুর কি মন্ত্রীসান্ত্রীর মতো সুযোগ-সুবিধা নেওয়া সাজে? বাবার জবাব, ‘সরকারি সুযোগ-সুবিধা না নিলে নর্মদা রক্ষার কাজ করব কী ভাবে?’

উল্লেখ্য, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নর্মদা নদীতে বাঁধ দেওয়ায় ওই এলাকাগুলোর পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। নদীটি রক্ষা করতে ‘নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন’-এ অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখা পাঁচ ধর্মীয় ব্যক্তিকে সম্মাননা দেওয়া হল।

এস/