করোনা: অ্যান্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনাভাইরাস সংক্রমণের তিন মাস পর নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে নতুন কৌশল নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে আরটি পিসিআর নির্ভরতা কমাতে অ্যান্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহার করে দ্রুত রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে। তবে এজন্য ভাল মানের কিট ব্যবহার করতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা বাড়ছে। এ অবস্থায় দৈনিক ত্রিশ হাজার নুমনা পরীক্ষা করতে আরটি পিসিআর পদ্ধতির পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত হতে পারে পরিকল্পনা। পাশাপাশি অ্যান্টিবডি কিট ব্যবহার নিয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে নমুনা পরীক্ষায় ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। কারণ এই কিটের মাধ্যমে ব্যাপক ও দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। এতে সহজ হবে রোগী ব্যবস্থাপনাও।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, “অ্যান্টিজেন টেস্ট একটি র‌্যাপিড টেস্ট। আমি যদি র‌্যাপিড ডায়াগোনস্টিক করতে পারি তাহলে আমি প্লান করতে পারবো ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে। আমার যদি ডায়াগানোসে দেরি হয় তাহলে আমরা অনেক রোগী হারাতে পারি।”

অ্যান্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি ব্যবহারে ভাল মানের কিট আমদানি এবং দাম নির্ধারণ করে দেয়ার জোর দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ। আর সংক্রমণের তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ায় অধিদপ্তর মনে করছে, অনেকের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এজন্য অ্যান্টিবডি শনাক্তেরও চিন্তা চলছে। অধ্যাপক বে-নজির মনে করেন, জনজীবন ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা খুবই জরুরি।

এদিকে, নমুনা পরীক্ষার ওপর নির্ভর না করে উপসর্গ দেখে চিকিৎসা শুরুর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।