কোটা সংস্কার: প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে প্রজ্ঞাপন বিষয়ে ব্যবস্থা

বিদেশে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী নেতারা।

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন ন্যাম ভবনে জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা জানান আন্দোলনকারী এক নেতা।

আলোচনা শেষে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আশ্বাস পাওয়া গেছে। তাই দাবি আদায়ে ছোটখাটো কর্মসূচি চললেও ৭ মে পর্যন্ত কোনো বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে না।

নূরুল হক বলেন, এই আলোচনার পর তাদের আতঙ্ক অনেকটাই কেটে গেছে। আন্দোলনকারীদের বিনা কারণে হয়রানি করা হবে না—এমন আশ্বাসও পেয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে প্রাণখোলা আলোচনা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোটা নিয়ে আন্দোলনকারী একজন ছাত্রও বিনা কারণে যেন হয়রানির শিকার না হন, সেটা নিশ্চিত করা হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাগুলোর বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সেগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে। তবে উপাচার্যের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দোষিদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে। এই দোষিদের শাস্তি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও চায়।

এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীদের ন্যাম ভবনে আলোচনায় বসার জন্য ডাকা হয়। এরপর ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ন্যাম ভবনে যায়। কোটা সংস্কারের দাবিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন করছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু এখনো তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পায়নি।

এস/