গণমাধ্যমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবো: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যে কোনো সমালোচনা ইতিবাচক হিসেবে নেব। গণমাধ্যমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবো। তিনি বলেন, আমি প্রত্যাশা করছি ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। তিনি বলেন, আমি আরও উন্নত ঢাকা গড়তে চাই এবং সেবক হিসেবে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই। মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকা শহরকে আরও সুন্দর ও উন্নত করে গড়ে তুলতে কাজ করবো। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমি এই মর্যাদা কাজের মধ্যদিয়ে রক্ষা করবো।

তিনি বলেন, ঢাকাবাসী আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে সুন্দর, সুশাসিত, উন্নত এবং ঐতিহ্যের ঢাকা গড়ে তুলতে ২৪ ঘন্টা কাজ করবো। আমরা যখন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করবো তখন মহানগরীরর বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে ৩০ বছরের দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করবো।

অনুষ্ঠানে খ্যতনামা সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা(বাসস)এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ডেইলী অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, মাঈনুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মজিদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে রাস্তা খোড়াখুড়ি বন্ধে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিটি করপোরেশনের আইনে এ বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া আছে। সিটি করপোরেশনের আইনানুযায়ী অন্য সংস্থাকে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া আছে। সে কারণে, অন্য সংস্থাকে সিটি করপোরেশন আইন ও নিয়মনীতি মেনে কাজ করতে হবে।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উন্নত রাজধানী দরকার। সেই উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী বির্নিমাণ করা অত্যন্ত জরুরি। সেই বিবেচনা করেই আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে উন্নত সিটি করপোরেশন হিসেবে সাজাতে চাই। তিনি বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক নাগরিক সুবিধাগুলো নগরবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবেন তিনি। পরবর্তী তিনমাসের মধ্যে অ্যাকশন প্ন্যান এবং ওয়ার্কপান করে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবেন। অনিয়ম বন্ধে আমাদের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকবে। সেই কর্ম পরিকল্পনা ও নীতিমালা অনুযায়ী কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে।

আজ রাস্তা করলাম কাল আরেক সংস্থা এসে রাস্তা কেটে রাস্তা নষ্ট করবে তা হবে না। যে কোন রাস্তার কাজ করার আগে সব সংস্থা থেকে চাহিদা পত্র নেয়া হবে। আমরা তাদের সময় দেবো কাজ করার জন্য। আমাদের রাস্তার কাজ করার পরে অন্য কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান অন্তত তিনবছর কোন রাস্তা খুড়তে পারবে না। কারণ, আমাদের যে কোন কাজ কম পক্ষে ১০ বছর মেয়াদ থাকবে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা হবে। কোন রাস্তায় কোন যানবাহন চলবে সেটার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকবে। সেই অনুযায়ী রাস্তাগুলোকে সংরক্ষণ ও সংস্কার করা হবে।

ঢাকাকে দুষণমুক্ত করে সবুজ ঢাকা গড়ে তোলা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা নেয়া হবে। নারী ও বৃদ্ধদের জন্য উন্মুক্ত জায়গা থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খেলার মাঠ থাকবে। নগরীকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে। আমরা সবাই মিলে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সুন্দর নগরী গড়বো। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান