গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী

গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে।

‘আমরা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চাই, যাতে মানুষ নিজেদের গ্রামেই পর্যাপ্ত উপার্জন করতে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন। এটা মাথায় রেখে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি,’ বলেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৮তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,‘আমরা শহরে যে ধরনের সুবিধা দিচ্ছি তা পল্লির মানুষরাও পাবেন। আমরা গ্রামের স্যানিটেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে সরকার ইতিমধ্যে সারা দেশে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করেছে এবং এখন গ্রামের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারেন।

সমবায় আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, সরকার বিদ্যমান আবাদি জমিতে অধিক ফসল ফলাতে চায় এবং এ জন্য সমবায় আন্দোলন খুবই উপযোগী। ‘এ দেশের মানুষ আর কখনো খাদ্যের জন্য কারও কাছে হাত পাতবে না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে সমবায়ের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করে তুলতে সক্ষম হবে।

এ বছরের সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সমবায় অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিদ্যমান সমবায় আইনকে সময়োপযোগী করার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পথ অনুসরণ করে সরকার সমবায়ে আরও গুরুত্ব দেবে।

সমবায় ব্যাংক সম্পর্কে তিনি বলেন, অতীতে এ ব্যাংক মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ‘এ ব্যাংক সংক্রান্ত আইনকে সময়োপযোগী করে ব্যাংকটিকে লাভজনক করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

দেশের সমবায় ব্যবস্থা উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে। যার সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ৯ লাখ।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের উপায় হলো সমবায় সমিতি। তিনি সর্বক্ষেত্রে সমবায় ভিত্তিক উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপু এবং সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মজিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সমবায় খাতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সমবায় সমিতি ও ব্যক্তিদের মাঝে জাতীয় সমবায় পুরস্কার তুলে দেন।

এছাড়া, তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র চত্বরে বিভিন্ন সমবায় সমিতির স্টল পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে তিনি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ