চাঁদাবাজির অভিযোগে জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃষ্টি করে জমি দখল করার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় আরো একটি মামলা করা হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। মাছ চুরি, ফল চুরিসহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে এই পর্যন্ত আশুলিয়া থানায় ছয়টি মামলা করা হয়েছে।

রাজধানীর জিগাতলা এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে সর্বশেষ এ অভিযোগ করেন। পরে আজ শনিবার ভোররাতে অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।

মামলার অন্য আসামীরা হল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম এবং স্থানীয় টাকশুর এলাকার আওলাদ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু। সবশেষ মামলার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পেয়েই মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাভারের মির্জানগর এলাকায় লেজার মেডিকেলের মালিক ডা. জাহানারা ফেরদৌস খানের প্রায় দুই একর জমি রয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন সেই জমিটি দেখতে মির্জানগরে যান। এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নির্দেশে সাইফুল ইসলাম শিশির, আব্দুস সালাম এবং আওলাদ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসী বাদীর কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাঁরা বাদীসহ জমির তত্ত্বাবধায়ককে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। আমি হামলায় আহত হয়ে মামলাটি করেছি বলেন, মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেন ।

এদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মামলাটিকে গায়েবি মামলা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাছ-বিচার ছাড়াই একের পর এক মামলা দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগে চারটি অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কোনোটিই মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি।এই ব্যাপারে ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু জানান,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আবার, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। গত ১২ অক্টোবর সেনানিবাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। পরে ওই সাধারণ ডায়েরিটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজকের বাজার/এমএইচ