জনশুমারি ও গৃহগণনার মাধ্যমে জনগণের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে চাই : পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকার জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজটি নির্ভুলভাবে করে সঠিক তথ্যটাই জনগণের কাছে তুলে ধরতে চায়। তিনি বলেন, বিদেশিরা বলছেন পরিসংখ্যানে আমরা এখন প্রায় বিশ্বমানের কাছাকাছি পৌঁছেছি। আমরা যাতে আগামীতে আরো এগোতে পারি তার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। এম এ মান্নান আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের হল রুমে অনুষ্ঠিত বিবিএসের উদ্যোগে জনশুমারি ও গৃহগণনা উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জাহিদুল হক সরদার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ( উন্নয়ন) মো নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম বিভাগের স্থানীয় সরকারের পরিচালক দ্বীপক চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজিসহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, নতুন সহস্রাব্দে পদার্পণের পর ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত এক নিরাপদ বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়ে এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনা অতীতের যে কোন শুমারির চেয়ে অধিকতর গুরুত্ব বহন করবে। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ ও আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো এখন বিশ্বমানের। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো স্বীকার করেছে, আমাদের ব্যুরোর তথ্য অনেক এগিয়েছে। এমনকি আইএমএফ তাদের সংখ্যার সঙ্গে আমাদের সংখ্যা মিলিয়ে দেখে প্রায় একই পেয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের অতিথি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদেরকে সহযোগিতা দিতে। তবে সবাইকে তা আইনের মাধ্যমে করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ ১৭ মার্চ ২০২০ হতে শুমারির ক্ষণ গণনা শুরু হবে এবং ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি ০০.০০ (জিরো আওয়ার) কে রেফারেন্স পয়েন্ট ধার্য করা হয়েছে।

সর্বশেষ আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ সালে বিবিএসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল যার হিসাব মতে তখন দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ। সভায় পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান