খুলনায় থানার মধ্যে তরুনীকে গণধর্ষণ

জিআরপি থানার ওসি ও এসআই ক্লোজড

খুলনার জিআরপি থানায় এক তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠান ও উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হককে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

বুধবার, ৭ আগস্ট এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে তার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা থানার পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন।

এএসপি ফিরোজ আহমেদ বলেন, প্রয়োজনে অভিযোগকারীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবে তদন্ত কমিটি। তবে আদালত থেকে এখনও কোনো কাগজপত্র বা নির্দেশনা পাইনি আমরা।

গত শুক্রবার রাতে এক তরুণীকে থানার মধ্যে গণধর্ষণ করা হয় বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওই তরুণী যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। ট্রেন থেকে নামার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেল স্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন।

পরদিন শনিবার তাকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান করা হয়।আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর ওই তরুণী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর বিচারক তার ডাক্তারী পরীক্ষার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি আমলে নিয়ে গত সোমবার পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আজকের বাজার/এমএইচ