দৃষ্টি এখন গণভবনের দিকে

সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বহুল আলোচিত এই সংলাপ নিয়ে রাজনীতি সংশ্লিষ্টজন ছাড়াও সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি এখন গণভবনে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ২৩ সদস্যের নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার চেয়ারম্যান কামাল হোসেন নেতৃত্ব দেবেন ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের।

আওয়মী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যান্য সদস্য:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, মো.আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান ও দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা শ ম রেজাউল করিম।

১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া উপস্থিত থাকবেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্য সদস্য:

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিক উল্লাহ এবং নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন এবং ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- এস এম আকরাম ও সুলতান মো. মনসুর আহমেদ।

সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানানো হচ্ছে, আজকের সংলাপেও সেসসব দাবির পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলেও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংলাপে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে কিন্তু সংবিধানের বাইরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই। তথ্যসূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ