নিউজিল্যান্ডে মসজিদে গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে জড়ো হওয়া মুসল্লিতে পূর্ণ দুটি মসজিদে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী একে ‘নিউজিল্যান্ডের অন্যতম কালো দিন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কর্তৃপক্ষ একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের এবং আরও তিনজনকে আটক করেছে। সেই সাথে বিস্ফোরক দ্রব্য নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। পুরো ঘটনাকে সযত্নে পরিকল্পিত বর্ণবাদী আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডের্ন বলেছেন, ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা ‘সহিংসতার এক অস্বাভাবিক ও নজিরহীন কর্মের’ প্রতীক। তিনি স্বীকার করেছেন যে হামলায় আক্রান্ত অনেকে অভিবাসী এবং উদ্বাস্তু হতে পারেন। মৃতের সংখ্যা জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ২০ জনের অধিক গুরুতর আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে একে এখন শুধুমাত্র সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করা যায়।’

৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দেয়া এ গুলির ঘটনার পর পুলিশ তিন পুরুষ ও এক নারীকে আটক করে। পরে সন্দেহভাজন একজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আর কোনো সন্দেহভাজন না থাকলেও জাসিন্ডা আরডের্ন জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা হুমকির স্তর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে।

কাদের আটক করা হয়েছে তা কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে না জানালেও বলছে, আটক কেউই নজরদারির তালিকায় ছিল না। হামলার জন্য দায় স্বীকার করা এক ব্যক্তি ৭৪ পৃষ্ঠার অভিবাসনবিরোধী ইশতেহার দিয়েছেন এবং এতে তিনি কে ও হামলার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ২৮ বছর বয়সী একজন শ্বেতাঙ্গ অস্ট্রেলিয়ান এবং একজন বর্ণবাদী।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিশ্চিত করেছেন যে আটক চারজনের একজন জন্মগতভাবে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক।

পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে বলেন, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বাকি তিন সন্দেহভাজন সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেননি এবং একই হামলাকারী দুই হামলার জন্য দায়ী কিনা সে সম্পর্কেও কিছু বলেননি।

সবচেয়ে মারাত্মক হামলাটি হয় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ক্রাইস্টচার্চের কেন্দ্রে মসজিদ আল নুরে। দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয় লিনউড মসজিদে।

আজকের বাজার/এমএইচ