পিরোজপুরে ১ বছরে ৫৯৫ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত

জেলায় সদ্য সমাপ্ত বছরের শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশে ৫৯৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে গঠিত এসব আদালত এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের অপরাধের ধরন অনুযায়ী অর্থদন্ড ও কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে।

২০১৯সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার নদ-নদী, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত আদালত ২৪ লক্ষ ৩ হাজার ৬শত টাকা অর্থদন্ড আদায় করে এবং ১০০ জনকে সর্বনিম্ন ৩দিন থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদন্ড প্রদান করে। অক্টোবর মাসে সর্বাধিক ১১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ৫২টি, ফেব্রুয়ারি মাসে-৪২টি , মার্চ মাসে ৫১টি, এপ্রিল মাসে ৪৭টি, মে মাসে ৫৭টি এবং জুন মাসে ৩৬টি, জুলাই মাসে-৪১টি, আগষ্ট মাসে-৪১টি, সেপ্টেম্বর মাসে-৪১টি, অক্টোবর মাসে-১১০টি, নভেম্বর মাসে-৪১টি, ডিসেম্বর মাসে ৩৬টি নিয়ে মোট ৫৯৫টি আদালত পরিচালনা করা হয় বলে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ের বিচার শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুবানা তানজিলা জানান। ৫৯৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে যেসব আ্ইন অমান্যকারীদের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা, ঝাটকা ও ডিম ভরা ইলিশ শিকার, ইভটিজিং, খাদ্যে ভেজাল, প্রকাশ্যে ধূমপান, মাদক সেবন ও বিক্রয়, পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন, বাল্য বিয়ে, ভোক্তা অধিকার আইন, পরিবেশ আইন এবং বিএসটিআই আইন অমান্য করা।

পিরোজপুরের জেলা মেজিস্ট্রেট আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ফলে তাৎক্ষণিক কারাদন্ড অথবা অর্থদন্ডের আদেশ দেয়ায় মোবাইল কোর্ট এর আওতাভুক্ত বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। তিনি বলেন এ আদালত পরিচালনা অব্যহত থাকবে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান