আতঙ্কের কিছু নাই দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার: সংবাদ সম্মেলনে বিএমবিএ ও ডিবিএ

পুঁজিবাজারের বর্তমান দরপতন নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। এতে ভয় পেয়ে বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা শেয়ার দ্রুত না ছাড়ারও পরামর্শ দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বুধবার ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে হোটেল ফার্সে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানায় বিএমবিএ।
সংগঠনটির নেতারা বলছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে একটি মহল বাজারে ভীতি ছড়িয়েছে । এছাড়া মুদ্রানীতিতে এডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) উল্লেখ না করায় বিনোয়োগকারীরাও ঠিক মতো বাজার বুঝতে পারছেনা। তাই এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, দেশের চলমান একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর আসছে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে একটি মহল গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে। মহলটি বাজারে সেল প্রেসার বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীর আস্থা নষ্ট করছে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মনস্তাত্বিক একটা ভীতি কাজ করছে। এই কারণে পুঁজিবাজারে সেল প্রেসার বেড়েছে। যা শিগগিরই কেটে যাবে। এমনিতেই বিনিয়োকারীদের মধ্যে মুদ্রানীতি নিয়ে একটা মানসিক চাপ ছিল। তার উপর এই অবস্থা। এই জন্য পুঁজিবাজারে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার ভালো হোক; এটা সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সবাই চায়। নতুন মুদ্রানীতি তারই বড় প্রমাণ। তাই বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে বুধবার ৩১ জানুয়ারি টানা দ্বিতীয় দিনের মত দেশের দুই পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ৮৮ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনও একইভাবে শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং সিএসইর সার্বিক সূচক প্রাায় ১ শতাংশ পড়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, বিএমবিএ মহাসচিব খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ,সিনিয়র সহ-সভাতি মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ,মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাহবুব হোসেন মজুমদার,মুহাম্মদ ছালেহ আহমেদ ও মো. আবু বকর।