বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহে বিডিআরসিএস কন্ট্রোল রুম খুলেছে

দেশের উত্তর, পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) কন্ট্রোল রুম খুলেছে।
সবধরনের তথ্যের জন্য যে কেউ ফোন করতে পারেন +০০৮৮-০২-৯৩৫৫৯৯৫ (সরাসরি), ০১৭২০৯৭৭৮৭৭, পিএবিএক্স# ৯৩৩০১৮৮, ৯৩৩০১৮৯, ৯৩৫০৩৯৯ -২৮২ এই নম্বরে।
বিডিআরসিএস-এর ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক বেলাল হোসেন জানান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের জন্য খোলা হয়েছে বিডিআরসিএস “কন্ট্রোল রুম”।
এছাড়াও আকস্মিক এই বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে সোসাইটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (এনডিআরটি), ন্যাশনাল ডিজাস্টার ওয়াটসন রেসপন্স টিম (এনডিডব্লিউআরটি), ইউনিট ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (ইউডিআরটি) টিমের সদস্যসহ ক্ষতিগ্রস্ত জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকদের।
সোসাইটির স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক ইকরাম ইলাহী চৌধুরী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তÍদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ২টি মেডিকেল টিম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এর সংখ্যা আরোও বাড়ানো হবে।
আজ শনিবার সকালে সোসাইটির কনফারেন্স রুমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় ঠিক করতে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন। সভায় সোসাইটির উপমহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক বেলাল হোসেনসহ সোসাইটির সকল বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি), ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্যা রেড ক্রস (আইসিআরসি) ও পার্টনার অফ ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ।
সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগ জানায়, জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলায় মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ হাইজন কিটস্, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, তারপলিন শীট ও জেরি-ক্যান ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ। এছাড়াও দুর্গত মানুষদের নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ‘মোবাইল ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্লান্টস’ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থাপন করা হবে। যার মাধ্যমে নদী বা জলাশয়ের পানিকে বিশুদ্ধ করে বন্যার্তদের মাঝে প্রতিনিয়ত নিরাপদ পানি সরবরাহ করা যাবে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো: ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সার্বক্ষণ প্রস্তুত রয়েছে। বন্যাকালিন এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জরুরী সাড়া প্রদানকারী টিমসহ সকল কর্মকর্তাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সোসাইটির সকল মুভমেন্ট পার্টনারকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।
যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকরা ইউনিটের সহযোগিতায় শুকনা বা রান্না খাবার বিতরণ করছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও চট্টগ্রামসহ পাবর্ত্য জেলাগুলিতে পাহাড় ধ্বসের কারণে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারি জনগণকে সরিয়ে নিতে সর্তকতামূলক প্রচারণা এবং তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবকরা।