বাজেটে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটায় অর্থমন্ত্রীকে ডিএসইর ধন্যবাদ জ্ঞাপন

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা সাথে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে বলে জানিয়েছে ডিএসই। পুঁজিবাজারের সু-শাসন ও প্রণোদনা প্রদান বিষয়ে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রস্তাব করায় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামালকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।

ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বৃহস্পতিবার ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। “সমৃদ্ধ আগামীর পথযাএায় বাংলাদেশ সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের” শিরোনামে বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার, পুঁজিবাজারের সু-শাসন বিশেষ প্রণোদনা প্রস্তাবনা প্রস্তাব রঢেছে বাজেটে। প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারমূলক দিক নির্দেশনা ও প্রণোদনা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা – প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে।

উল্লেখযোগ্য প্রণোদনাসমূহ হলো –
১. স্টক ডিভিডেন্ড এর পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য কোনো কোম্পানি স্টক ডিভিডিন্ড প্রদান করলে সংশিষ্ট কোম্পানিকে উক্ত স্টক ডিভিডেন্ডের উপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।

২. কোনো কোম্পানির কোনো আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার উপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।

৩. পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি হতে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব।

৪. নিবাসী ও অনিবাসী সকল কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড আয়ের উপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব।

৫. পুঁজিবাজারে কোন রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোন আর্থিক দিক থেকে সবল কোম্পানি আত্মীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করার প্রস্তাব।

সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে সব প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে তা বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছে ডিএসই। এছাড়াও বেসরকারী খাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে যা দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরো বেশি আকৃষ্ট করবে।

 

 

আজকের বাজার/মিথিলা