বিমানের ছয় কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২৪ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ বিমানের ছয় কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির সহকারী কমিশনার গোলাম সাকলায়েন গত ২ মার্চ ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার সালেহউদ্দিন, জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার মো. শাহজাহান সিরাজ ওরফে বাবুল, বিমানের জুনিয়র সিকিউরিটি অফিসার কামরুল হাসান, বিমানের এয়ারক্রাফট মেকানিক মো. মাসুদুর রহমান, মেকানিক অ্যাসিস্ট্যান্ট আনিস উদ্দিন ভূঁইয়া, মেকানিক মজিবর রহমান, বিমানের সুইপিং সুপারভাইজার আবু জাফর, নেপালের নাগরিক গৌরাঙ্গ রোসান, তার সহযোগী বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মিলন শিকদার, সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক তরফদার, ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মদ খান, ব্যবসায়ী মানিক মিয়া, ব্যবসায়ী সুব্রত কুমার দাস ওরফে লিটন, ব্যবসায়ী এস এম নুরুল ইসলাম, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মেদ, মো. রায়হান আলী, সিরাজুল ইসলাম ও জসিমউদ্দিন। তাদের মধ্যে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মিলন শিকদার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৭০২ ফ্লাইটের ফ্রন্ট কার্গো ব্যাগেজ হোল্ড তল্লাশি করে কার্গো হোল্ডের ফ্রন্ট এস্টেট বক্সগুলোর ক্রু চ্যানেল খুলে বক্সের ভেতর পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২৪ কেজি স্বর্ণের চালান আটক করে কাস্টমস ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।

এয়ারক্রাফটি নেপাল থেকে শাহজালালে অবতরণ করার পরই স্বর্ণের খবর চলে যায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে। পরে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খানকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ১৪ জনকে স্বর্ণ চোরাচালানের জন্য দায়ী করে এনবিআরে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা জামাল বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে। সংস্থাটির পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা ১৮ জনের বিরুদ্ধে গত ২ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আইন-শৃক্ষলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, চার্জশিটভুক্ত ১৮ আসামির মধ্যে ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। সালেহ আহমেদ নামে এক আসামি জামিনে আছেন। ৪ জন এখনো পলাতক। তবে জামিন পাওয়া আসামির জামিন রবিবার (৫ মার্চ) বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। তাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট