বৈরুতে নিহত হয় ৭৩ জন ২টি শক্তিশালী বিস্ফোরণের কারণে আর আহত হয় কয়েক হাজার

বৈরুতের বন্দরে মঙ্গলবার শক্তিশালী দু’টি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত এবং কয়েক হাজার লোক আহত হয়েছে। এতে অনেক দূরবর্তী স্থানের ভবনগুলোও কেঁপে উঠে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় লেবাননের রাজধানীজুড়ে চরম বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। খবর এএফপি।

দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনায় আকাশে কমলা রঙের বিশাল আগুনের কুন্ডলি দেখা যায়। এর পরপরই শোকওয়েভের মতো একটি টর্নেডোর সৃষ্টি হয়। এটি বন্দর ও নগরীজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং কয়েক কিলোমিটার দূরের বহু ভবনের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেন, বন্দরের পাশে কয়েক বছর ধরে মজুত করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সারের একটি গুদামে এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুদামটি উড়ে যায়। সেখানে ২ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন কৃষি সার মজুত ছিল। ফলে সেখানে সার্বিক অর্থে একটি ভয়াবহ দুর্যোগের সৃষ্টি হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভয়াবহ এ দুই বিস্ফোরণের ঘটনায় লেবাননের বৃহত্তম নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৭৩ জন নিহত ও ৩ হাজার ৭শ’ জন আহত হয়েছে। বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ধ্বংস্তুপের মধ্যে আহতদের পাশাপাশি অনেকের রক্তাক্ত লাশ চাপা পড়ে রয়েছে।

ডবস্ফোরণে সেখানের বহু ভবনে আগুন ধরে যায়। দিয়াব বলেন, ‘আজ যা ঘটে গেছে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জবাবদিহি করতে হবে। এ ভয়াবহ ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে।’ এর আগে বৈরুতের নিরাপত্তা প্রধান আব্বাস ইব্রাহিম বলেন, গুদামটিতে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিস্ফোরক উপাদান বছরের পর বছর ধরে মজুদ রাখা হয়।

এ দু’টি বিস্ফোরণ এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে এতে পুরো নগরী কেঁপে উঠে এবং ছোট এ দেশের সব অঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় সাইপ্রাস দ্বীপের নিকোসিয়া থেকেও এ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

এ বন্দরে থাকা এক সৈন্য এএফপি’কে বলেন, ‘বিস্ফোরণে বন্দরের ভেতরে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। সেখানে অনেক মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে এখন লাশগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ কয়েক দশক ধরে বন্দরের কাছে বসবাস করা অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘এটি একটি অ্যাটম বোমার বিস্ফোরণের মতো ছিল।’ তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান