মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উপায়ের কথা বললো বাংলাদেশ

রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে। এ সমস্যার নিরসন কিভাবে করা যায় তা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনার মধ্যে সমন্বয়সাধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে বলে মনে করে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের কতগুলো সম্ভাব্য উপায়ের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ দাবি করে, এ সংকট নিরসনে মিয়ানমারকে সমন্বয়সাধন কৌশলে স্বচ্ছতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে একটি সামাজিক উপায় বেছে নিতে হবে।

মঙ্গলবার ইউএন সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখতে সমন্বয়সাধনের ভূমিকা’ শীর্ষক নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুক্ত বিতর্কে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন এসব বিষয় উত্থাপন করেন।

রাখাইন রাজ্যে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য রোহিঙ্গা, মিয়ানমারের অন্যান্য গোষ্ঠী এবং কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংলাপের দরকার।

১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয়সাধনের সফল অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

সংঘাতের মাধ্যমে জন্ম নেয়া দেশগুলোর জাতীয় ও স্থানীয়দের মধ্যে সমন্বয়সাধন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন ঠেকাতে নারী ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মোমেন, বুধবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সমন্বয়সাধন ও মিয়ানমারের সমাজকে পুনরায় সংহতকরণের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে টেকসই শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা কাউন্সিলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে থাকা মূল অভিযোগগুলোর সমাধান করতে এবং রাখাইন রাজ্যে প্রয়োজনীয় মানবিক কর্মী পাঠানোর ব্যবস্থাকে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্টের অধীনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ইউএনএইচসি’র সেক্রেটারি জেনারেল ‘ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো সমন্বয়সাধন কাজ করবে না’ বলে উল্লেখ করেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ