রাজধানীর কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে হটলাইন চালু

ঈদুল আযহার দিন কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ২১ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য এবার হটলাইন চালু করা হয়েছে। ডিএসসিসির হটলাইন নম্বর হলো ০৯৬১১০০০৯৯৯।
অন্যদিকে ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৩-এ (মহাখালী) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হচ্ছে। হটলাইন নম্বর হলো ০২৯৮৩০৯৩৬। এর বাইরে ৫টি অঞ্চলে মোবাইল নম্বর সার্বক্ষনিক খোলা থাকবে। নম্বরগুলো হলো- উত্তরা ০১৭১৭১০২০২৫, মিরপুর ০১৭১১-৩১৩২৮৯, মহাখালী ০১৯২৩১১৩৬৩৬ মিরপুর (অঞ্চল-৪) ০১৭৩৩৮৯৫৫৩২ ও কারওয়ান বাজার ০১৭১১৫৭৭৪৭৪। নগরবাসীকে এসব মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।
এবারে নতুন সংযুক্ত ৩৬ ওয়ার্ডসহ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ১ হাজার ৫৪টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণে দুই সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত ও নির্ধারিত সময়েই বর্জ্য অপসারণে হটলাইন খোলা থাকবে এবং বর্জ্য অপসারণের প্রায় ৫ লাখ পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করবে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ।
সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগামীকাল ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন দুই মেয়র। এবার কোরবানির ঈদে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে প্রায় ৫ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। এসব পশু থেকে কমপক্ষে ৩০ হাজার টন বর্জ্য বের হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খোন্দকার মিল্লাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বর্জ্য অপসারণে ২০ হাজার ৭৭১ পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মধ্যে ডিএসসিসি’র ১১ হাজার ২৭১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে মাঠে থাকবেন। এখানে ১০টি পে-লোডারসহ ৩৫০টি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য এবার হটলাইন চালু করা হয়েছে। ডিএসসিসির হটলাইন নম্বর হলো ০৯৬১১০০০৯৯৯। এ ছাড়া ১ লাখ ৭৫ হাজার বর্জ্যবাহী ব্যাগ বিতরণ করা হবে। এছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণে লিফলেট ও মাইকিং করা হবে।
মিল্লাদুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় পশু জবাই করা যাবে না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধায় এবং দুর্গন্ধ থেকে নগরকে মুক্ত রাখতে নির্ধারিত জায়গায় পশু জবাইকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সূত্র: বাসস