রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

দুবার পিছিয়ে থাকা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন । কিন্ত দুবার ম্যাচে ফিরে আসে স্বাগতিক দল ।দ্বিতীয় বার ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলেও কোন কাজ হচ্ছেছিলোনা ।হার দেখতে দেখতে বিদায়ের ক্ষণ গোনা চট্রগ্রাম আবাহানী যেন প্রাণ ফিরে পেল ঠিক ওই সময়েই।এরপর শ্বাসরুদ্ধ কর ম্যাচে ৩-২ গোলে প্রথম সেমিফাইনালে জয় ।তৃতীয় শেষ কামাল ক্লাব কাপের ফাইনালে উঠে চট্রগ্রাম আবাহানীর স্বপ্নটা বেচে থাকল ভালো ভাবে।

৮৯মিনিট পর্যন্ত ১-২ গোলে পিছিয়ে থেকে চট্রগ্রাম আবাহানী, গ্যালারিতে কানায় কানায় পুণ্য দর্শকসহ সবার মুখে যেন কালো মেঘের ছায়া পরে গেছে ।কিন্ত শেষ বাঁশি ঠিক আগেই গ্যালারিতে দর্শকের প্রাণের উচ্ছ্বাস ।আর তখনি আইভরি কোষ্টর ফরোয়ার্ড চার্লস দিদিয়ের ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করে ত্রাতার ভূমিকা পালন করে ।তাঁর গোলেই ২-২ ম্যাচ সমতায় ফেরায় ।রপর ১০৫ তম মিনিটে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার চিনেদু ম্যাথিউ হেড জয়সূচক গোল করতেই উল্লাসে ফেটে পেড়ে গ্যালারি।

মন্টেনেগ্রোর স্ট্রাইকার লুকা বারবার গোল নষ্ট করায় শেষ দিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হকের দুটি বদল দারুণ কাজে এসেছে।বদলি ফরোয়ার্ড কাওসার রাব্বির ক্রসে স্ট্রাইকার চিনেদু ম্যাথিউর শট গোলকিপার ফেরালে ফিরতি বলে সেই চিনেদুর হেডে ৩-২। অবিশ্বাস্য জয় চট্টগ্রাম আবাহনীকে নিয়ে গেছে শিরোপা শেষ ধাপে।

এই জয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক খুবই খুশি। ম্যাচ শেষে বলে গেলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল শিরোপা পুনরুদ্ধার করা। সেমিতে ওঠে আমরা সে পথে আরেক ধাপ এগিয়েছি। ধন্যবাদ দেব ফুটবলারদের, যারা ম্যাচ ছাড়েনি কখনো। ফুটবলারদের একটা কথাই বলেছি, যারা জেতে তারা কখনো ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় না। সেভাবেই খেলেছে ছেলেরা। তবে শেষ কাজটা এখনো বাকি। ফাইনাল জয়।’ ৩১ অক্টোবর মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু বা মোহনবাগান যারাই আসুক চট্টগ্রাম আবাহনী আজকের জয়ে মানসিকভাবে অনেক দৃঢ় এখন।