রোহিঙ্গা গণহত্যায় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে দোষী মিয়ানমার

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মিয়ানমার।

বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত এই আদালতে মামলার অন্তর্বর্তী রায় পড়ে শোনান আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাউয়ি আহম্মেদ ইউসুফ। সেখানেই মিয়ানমারকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন তিনি।

২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা পোস্টে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা অভিযান চালায় মিনায়মারের সেনাবাহিনী।

প্রাণ বাঁচাতে সেখানকার প্রায় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়। পালিয়ে আসা ওইসব রোহিঙ্গাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বা শরীরে পোড়া ক্ষত নিয়ে আসেন। নারীদের শরীরে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট ছিল।

পালিয়ে আসা ওই সব মানুষদের অভিযোগ ছিল, সেনাবাহিনী গ্রামের পর গ্রামে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। নারী ও শিশুদের ধর্ষণ করছে।

অভিযোগ তদন্তের জন্য ওই বছরই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বিভিন্ন দেশের তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তদল গঠন করে।

গত অগাস্টে সেই তদন্তদলের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যাতে বলা হয়, সংখ্যালঘু মুসলমানদের নির্মূল করতে গণহত্যার অভিপ্রায় থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়ন করেছে।

এর আগে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন রাখাইনে রোহিঙ্গা মুলসমানদের উপর ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালানোর অভিযোগ তুলে মিয়ানমার সেনাপ্রধান মিন অং হলাইং এবং আরো পাঁচ জেনারেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করতে বলেছিল।

তখন মিয়ানমার ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।

ডেইলি বাংলাদেশ/মাহাদী