শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন সংস্থা’র (বিআইডব্লিউটিসি) এজিএম শাহ মো. বরকতউল্লাহ জানান, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এই রুটের ফেরি সার্ভিস শুক্রবার বেলা ৩টায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এখানে ঝড় শুরু হওয়ার পর কিছু সময় ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুনরায় সব ফেরি বন্ধ করে ৪টি ছোট ফেরি দিয়ে পারাপার চলছিল। তবে বাতাসের তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ফেরি চলাচল বেলা ৩টার দিকে বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিনি জানান লঞ্চ ও স্পীডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে ফেরি দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে। যানবাহন পার করা হয়েছে খুবই কম। ফেরি ভিড়লের লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ফেরিতে।
তিনি আরও বলেন, নদীতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে। তাই নিরাপত্তার জন্যই এখন ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই রুটে স্পীডবোট, লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ঘাটে আটকা পড়েছে প্রায় ৩শতাধিক যানবাহন। বর্তমানে এ রুটে একটি রো রো ফেরিসহ মোট ১৪ টি ফেরি চলাচল করছিল। মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আরমান হোসেন জানান, জান মালের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। সময়ের সাথে সাথে বাতাসের গতিও বাড়ছে। তবে ঘাটে গাড়ি আসার সংখ্যা আজ অনেক কম ছিল।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কমিটি ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ইতোমধ্যে উপজেলায় নদী তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরা ট্রলার এবং বেদে সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীতে নৌ চলাচলে সতকর্তা, চরের মানুষদের সতর্ক করা, বাল্কহেড চলাচল বন্ধ, লৌহজংয়ের তেউটিয়া, গাউটিয়া, কমলাপাড়া মাইকিংসহ সদরের চরকিশোরগঞ্জ এলাকাসহ নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হযেছে।
জেলার ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রের সবগুলো খোলা রাখাসহ কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে, যার নম্বর ০২-৭৬১১১০৮।