সংলাপের মধ্যে আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বোধগম্য’ নয়

চলমান সংলাপের মধ্যে নতুন করে কর্মসূচি দেয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আলোচনা চলছে, `তখন আবার দেখলাম আন্দোলনের কর্মসূচিও তারা দেয়। একদিকে আলোচনা করবে আবার আরেকদিকে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া, এটা কী ধরনের সংলাপ? সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য না। জানি না, দেশবাসী জাতি এটা কীভাবে নেবে?’

শনিবার (৩ নভেম্বর) জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জনগণের কথা ভেবে সংলাপে বসেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শুধুমাত্র দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে এবং মানুষ শান্তিতে ভোট দিক, তাদের পছন্দের সরকার বেছে নিক- সেজন্যই আমরা এ সংলাপে বসেছি, আলোচনা করেছি।

ঐক্যফ্রন্টের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কর্তৃক সংলাপে বসার চিঠি পেয়ে হঠাৎ করেই বিএনপির সাথে জোট বাধা ঐক্যফ্রন্টের সাথে গত বৃহস্পতিবার সংলাপে বসেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা স্থায়ী ওই বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের কামাল ‘বৈঠক ভালো হয়েছে’ বললেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক নিয়ে ‘সন্তুষ্ট নয়’ বলে জানিয়েছিলেন।

গণভবনে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে প্রত্যাশিত সমাধান না পাওয়ার কথা জানিয়ে ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতারা। যদিও ঐক্যফ্রন্টের অনেক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মাদ নাসিম প্রমুখ।

এছাড়াও তাজউদ্দিন আহমেদের কন্যা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সিমিন হোসের রিমি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতও বক্তব্য রাখেন। তথ্যসূ্ত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ