সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ভোটার সংখ্যায়

ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম. নুরুল হুদা।

২০ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিফিংয়ের আগে উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়। এরপর সিইসি ও উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিরা যৌথ ব্রিফিং করেন।

সিইসি কে.এম. নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট শক্তিশালী। এই কমিশনের জন্য যে সব আইন আছে- তা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। তবে অংশগ্রহণমূলক না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের এখানে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ হয় জনসংখ্যার ঘনত্বের ভিত্তিতে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে সীমানা নির্ধারণ করা হলে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর আসন বেড়ে যাবে; গ্রামাঞ্চলে আসন কমে যাবে। এতে বৈষম্য তৈরি হতে পারে।

তাই এসব সমস্যার সমাধানে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা নয়; বরং ভোটের সংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণের চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে এক্ষেত্রে কিছু আইনগত সমস্যা আছে। সেটা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে সহযোগিতার ধরন সম্পর্কে সিইসি বলেন, কারিগরি সহযোগিতা ও স্মার্ট কার্ড প্রকল্পে গতি আনতে কিছু যান্ত্রিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস। তিনি বলেন, আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারি- তা জানতে চেয়েছি।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২০ জুন ২০১৭