সৌদিতে হামলায় ইরানী অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছ

সম্প্রতি সৌদি আরবের আবকাইক ও খুরাইসের তেল উত্তোলন কেন্দ্রে যে হামলা হয় তা থেকে এখন বোঝা গেলো আধুনিক একটা সামরিক বাহিনী এবং ব্যাপক বিস্তৃত একখানা প্রতিরক্ষা বাজেটের অধিকারী একটা দেশ হয়েও ড্রোন হামলার মুখে তা বেহাল হয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, উপগ্রহ মারফত পাওয়া ছবি এবং তথ্যাদিতে দেখা গিয়েছে– আকাশ পথের ঐ হামলায় ইরানী অস্ত্রাদি ব্যবহৃত হয়েছে, যে হামলার কারণে সৌদি ভূখন্ডের মোট তেল উৎপাদনের অর্ধেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সর্ব সাম্প্রতিক এ ঘটনা যে আশংকা-উদ্বেগ চারিয়ে তুলেছে, তা হলো ড্রোন আক্রমনের বিস্তার, ঐ প্রযুক্তির উত্থান, দুশ্চিন্তার ক্ষেত্রকে আরো অনেকখানিই বিস্তৃত করে তুললো।খবর ভিওএ

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা, যাঁদের পরিচয় চিহ্নিত করা হচ্ছে না, পশ্চিমা গণ মাধ্যমকে বলছেন, পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম কোন থেকে তাক করা ডজনেরও বেশি সংখ্যার ঐ আক্রমন অভিযান পরিচালিত হয়েছে, দক্ষিন পশ্চিম প্রান্তের আক্রমন এগুলো ছিল না , যেমনটি কিনা ইরান মদতপুস্ট ইয়েমেনের হৌথি বিদ্রোহিদের তরফে দাবী করা হয়েছে।

ইয়েমেনে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে হৌথিরা যে লড়ছে- জুলাইয়ে, সেই তারা ইরানের তৈরি তাদের দীর্ঘ পাল্লার ক্রুয ক্ষেপনাস্ত্র- আল কুদস নামাঙ্কিত এবং সামাদ থ্রি বিস্ফোরক, গর্বভরে প্রদর্শন করেছিল– যেগুলো কিনা দেড় হাজার কিলোমিটার দূর থেকেও আঘাত হানতে সক্ষম বলে তারা তখন জাহির করেছিল।

ইয়েমেনের সংঘাত, সূচনা পর্ব, সেই চার বছর আগের সময় থেকেই তেল সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এসেছে। এখন এই হামলায় বিশ্ব বাজার থেকে ৫৭ লক্ষ ব্যারেল উধাও হচ্ছে এবং একই সঙ্গে সৌদি আরবের জ্বালানী তেল শিল্পের প্রাণ কেন্দ্রটির ভঙ্গুর পরিস্থিতিটাকেও তা এখন প্রকট করে তুললো।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান