হারবাল ওষুধ খেয়ে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু, একজন হাসপাতালে

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ইউনানী ওষুধ খেয়ে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া এই ওষুধ খেয়ে নবাব আলী নামে আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন- বহলবাড়ীয়া খাড়াড়া এলাকার পলান শেখের ছেলে নুর মহাম্মদ (৫০) এবং একই এলাকার নবাব আলীর মেয়ে শামীমা (৯)।

রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাড়াড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, কাশির জন্য নবাব আলী ‘নবীন ল্যাবরোটরির মেরী গোল্ড’ নামক ইউনানী সিরাপ সেবন করেন। যেটি গত ২ মাস আগে কাশির সিরাপ হিসাবে ওই বাসায় নিয়ে এসে রাখা হয়েছিল। নবাব আলী ও মেয়ে শামীমা এই ওষুধ সেবন করেন। এসময় নওয়াব আলীর ঘরে টেলিভিশন দেখতে গিয়ে নূর মোহাম্মদও তার কাশির জন্য এই ওষুধ সেবন করেছিলেন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শামীমা অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ওই একই অষুধ খেয়ে মধ্য রাতে নুর মহাম্মদ অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে তিনিও মারা যান।

এরপর মধ্যরাতে অসুস্থ্ হয়ে হয়ে পড়ে শামীমার পিতা নবাব আলীও। তাকে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান জানান, হসপিটালে নিয়ে আসার পূর্বেই মেয়েটি মারা যায়।

তিনি জানান, মেরী গোল্ড নামক ইউনানী সিরাপ খেয়েছিল নবাব আলীর পরিবার ও প্রতিবেশি। এই হারবাল কোম্পানিটির কারখানা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বলে জানা গেছে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ভেড়ামারা উপজেলায় অবস্থিত নবীন ল্যাবরেটরি নামক ওই ইউনানী ফ্যাক্টারীতে অভিযান চালানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ