বাংলাদেশ পর্যটকদের জন্য ১৪তম ঝুঁকিপূর্ণ গন্তব্য

পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বের ২০টি দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশও। ভ্রমণ ও পর্যটনের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবস্থা, নিরাপত্তা, সুরক্ষা ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ‘ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপিটিটিভনেস রিপোর্ট’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ (ডব্লিউইএফ)। সংস্থাটির ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছর ১৩৬টি দেশের তথ্য উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে। তাতে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে ২০টি দেশকে পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। সাম্প্রতিক সময়কার সন্ত্রাসী হামলা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে পর্যটকদের জন্য ঝুঁকির্পর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে ডব্লিউইএফ। সংস্থাটি যুক্তরাজ্য সরকারের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ তাদের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ সতর্কতার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে।

ঝুকিপূর্ণ দেশের তালিকায় সবার উপরে আছে কলাম্বিয়া। দেশটিরর অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হলেও বিভিন্ন সংগঠনের সক্রিয় তৎপরতা, অপহরণ, মাদক পাচার ও ডাকাতির মতো বিষয়গুলোর দেশটি এখনো পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

এর পরে আছে ইয়েমেন। আল-কায়েদার মতো চরমপন্থী সংগঠন সেখানে সক্রিয়। এ ছাড়া ল্যান্ড মাইন এবং বিমান হামলায় বিধ্বস্ত দেশটিতে খাবার, পানি, চিকিৎসা সহায়তাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাই এটি পর্যটকদের জন্য সুখকর কোনো অভিজ্ঞতা দেবে না।

তিন নম্বরে আছে এল সালভাদর। মধ্য আমেরিকার দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি সশস্ত্র একটি সংগঠন রয়েছে যারা সহিংসতা, অস্ত্র চোরাচালান ও মাদক পাচারে যুক্ত। চার নম্বরে আছে পাকিস্তান। এছাড়া বোকো হারাম এবং পশ্চিম আফিকায় সক্রিয় আইএসের মতো চরমপন্থী দল থাকায় নাইজেরিয়ায় আছে তালিকার শীর্ষ দিকেই। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলাও আছে তালিকায়। পানি, খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুতের ঘাটতি থাকা দেশটিতে সামাজিক অস্থিরতা ও অপরাধ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে এখন বিশ্বের অন্যতম অপরাধপ্রবণ একটি দেশ ভেনিজুয়েলা।

ব্রাদারহুড, আইএস ও অন্য চরমপন্থী সংগঠনগুলো মিসরের পরিবহন, গির্জাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। যার প্রভাব দেশটির পর্যটনেও আছে।এরপরে তালিকায় ধারাবাহিকভাবে আছে কেনিয়া, হুন্ডুরাস,ইউক্রেন,ফিলিপাইন, লেবানন ও মালি।

তালিকার ১৪ নম্বরে আছে বাংলাদেশে। বাযলাদেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার হুমকির পাশাপাশি, প্রতিকূল আবহাওয়া বাংলাদেশকে পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পরে এই তালিকায় আছে আফ্রিকার দেশ চাদ। আইএস,আল-কায়েদা ও বোকো হারাম দেশটিতে সক্রিয়। এরপর গুয়াতেমালা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জ্যামাইকা ও থাইল্যান্ড। ২০ দেশের তালিকায় সবার শেষে আছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৯ জুন ২০১৭