যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসবে চাহিদার ১১ শতাংশ তুলা

বাংলাদেশ মোট চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ তুলা ভারত থেকে আমদানি করে থাকে। এছাড়া মধ্য এশিয়া থেকে ২০-২২ শতাংশ, আফ্রিকা থেকে ১৩ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭ শতাংশ তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ।

তবে সম্প্রতি তুলা আমদানিকারকদের নানা বিড়ম্বনায় ফেলছে ভারতের রপ্তানিকারকরা। সে কারণে কিছু দিন আগে থেকেই বিকল্প উৎসের সন্ধানে নেমেছেন দেশের তুলা ব্যবসায়ীরা। পর্যাপ্ততা ও মান বিবেচনায় বিকল্প উৎসের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির তুলা আমদানিকারকদের মধ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ম।

ভারতের ব্যসায়ীরা সহায়তা না করলেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তুলা আমদানিকারক হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়াতে বাংলাদেশের ১২টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এখন সেখানে সফরে রয়েছেন। তাদের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বর্তমানে চাহিদার ১১ শতাংশে উন্নীত করা।

যুক্তরাষ্ট্রের ফক্সথার্টিফোর ডটকম নামের একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেখানে তুলার মান যাচাই করে দেখছেন।

এদিকে কিছু দিন আগে দেশের তুলা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, সহজ যোগাযোগ ও দ্রুত পণ্য পাওয়ার কারণে গত কয়েক বছর তুলা আমদানিতে ভারতের উপর নির্ভরতা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দেশের আমদানিকারকদের নানা বিড়ম্বনায় ফেলছে ভারতের রপ্তানিকারকরা।

দেশের তুলা ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আলী অর্থসূচককে বলেছিলেন, ভারত থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে সম্প্রতি বেশকিছু সমস্যায় দেখা দিয়েছে। যেমন: ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে ঠিকমত পণ্য শিপমেন্ট করছে না ভারতের রপ্তানিকারকরা; একবারের জায়গায় ২-৩ বার শিপমেন্ট; পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রপ্তানি বন্ধ; বাড়তি চাহিদা থাকলে অযৌক্তিক দর বাড়ানো; আবার নিম্নমানের তুলা সরবরাহের অভিযোগ নিষ্পত্তি নিয়ে তালবাহানা ইত্যাদি। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আমদানিকারকরা। এ অবস্থায় বিকল্প উৎসকে জোর দিচ্ছি।

তিনি বলেন, তুলা আমদানিতে বিকল্প ভালো কোনো উৎসের সন্ধান না থাকায় ভারতের সঙ্গে দর কষাকষির সুযোগও কম। এই নির্ভশীলতাকে আমাদের দুর্বলতা হিসেবে ব্যবহার করে তারা। বিকল্প উৎস থাকলে ভারতের সঙ্গে দর কষাকষির সুযোগও বাড়বে।

দেশে তুলা আমদানির গত ৬ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিশ্ব বাজার থেকে ২০১২ সালে ৭ লাখ মেট্রিক টন তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১৫ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এর পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১২ লাখ মেট্রিক টন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ৭ মে,২০১৭