অভিবাসী সংকট নিরসনে বেলারুশকে চাপ দিতে রাশিয়ার প্রতি ফ্রান্সের আহ্বান

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভূক্ত দেশ পোল্যান্ড সীমান্তে কয়েক হাজার অভিবাসী আটকা পড়ায় যে সংকট দেখা দিয়েছে তার অবসানে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেনকোর সাথে মস্কোর সম্পর্ককে কাজে লাগাতে ফ্রান্স শুক্রবার সফররত রাশিয়ার শীর্ষ মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়ান-ইয়েভস লি ড্রিয়ান প্যাারিসে তাদের প্রতিপক্ষ মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন এবং  ‘এ অভিবাসী সংকটের সমাধান নিশ্চিত করতে বেলারুশের সাথে রাশিয়ার ঘনিষ্ট সম্পর্ককে কাজে লাগাতে মস্কোকে উৎসাহিত করে।’
এ সময় তারা ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশকে লক্ষ্য করে অভিবাসী ঢেউকে কাজে লাগাতে বেলারুশ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীন ও অগ্রহণযোগ্য আচরণের নিন্দা জানান।’
এছাড়া ফরাসি মন্ত্রীরা রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে সতর্ক করে দেন যে ইউক্রেনের ভূখন্ডগত অখন্ডতার ব্যাপারে রাশিয়ার নতুন কোন হুমকি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ঢেকে আনবে এবং দেশটির সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন।
২০২০ সালে রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা চালানোকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশের মধ্যে নতুন করে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটার পর থেকে তথাকথিত পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ২+২ কাঠামোর এ বৈঠক ছিল প্যারিস-মস্কো সমকক্ষের এমন ধাচের প্রথম আলোচনা। নাভালনির শরীরে বিষাক্ত এজেন্ট প্রয়োগের ঘটনার পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে লাভরভ ও শইগুর সাথে আয়োজিত একই ধরনের বৈঠক ফ্রান্স বাতিল করে।
নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করে নাভালনিকে হত্যার প্রচেষ্টা চালানোয় পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোকে দায়ী করে। জার্মানিতে চিকিৎসা গ্রহণের পর দেশে ফিরে আসলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাভোগ করছেন।