আজ জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী

দ্রোহ, প্রেম, সাম্য, মানবতা ও শোষিত মানুষের মুক্তির বার্তা দিয়ে গেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার ২৫ মে কবির ১১৮তম জন্মবার্ষিকী।

বিদ্রোহী কবি হলেও নজরুল ছিলেন চির তারুণ্য ও প্রেমের কবি। একইসঙ্গে দ্রোহ ও প্রেমের অপূর্ব সমন্বয় দেখিয়েছে তিনি।

১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে পৃথক বাণী দিয়েছেন। কবিকে নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রগুলো। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান মালা।

এই বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে ঢাকায়। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকেল সাড়ে ৩টায় ৩০মিনিটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। স্মারক বক্তব্য দেবেন অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর।

অন্যদিকে কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার দৌলতপুর ও চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবির ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

নজরুল বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন নজরুল; তার লেখায় এর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ নজরুল। তার লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে।

স্বাধীনতার লাভের পর পরই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন।

আজকের বাজার: আরআর/ ২৫ মে ২০১৭