আজ থেকে নিউ লাইন ক্লোথিংসের লেনদেন শুরু

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হচ্ছে আজ ২৭ মে সোমবার থেকে। নতুন কোম্পানি হিসেবে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করছে নিউ লাইন ক্লোথিংস। প্রতিষ্ঠানটির ট্রেডিং কোড: “NEWLINE”। ডিএসইতে কোম্পানি কোড হচ্ছে- ১৭৪৮২। সিএসইতে কোম্পানি কোড হচ্ছে- ১২০৭০

এদিকে লেনদেন শুরুর একদিন আগে কোম্পানিটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারী-মার্চ’১৯) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৬ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ২ পয়সা বা ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯ পয়সা।
এই সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী মোট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ২ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এদিকে, নয় মাসে (জুলাই’১৭-মার্চ১৮) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৩৯ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ৮ পয়সা বা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর আইপিও পরবর্তী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৪ পয়সা।
এই সময়ে কোম্পানির কর পরবর্তী মোট মুনাফা হয়েছে ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এর আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও লটারির অনুষ্ঠিত হয় ২৪ মার্চ সকাল ১০ টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে। আইপিও আবেদন গ্রহন চলে ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত । আর চাহিদার তুলনায় ১৭ দশমিক ৫১ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য আইপিওতে ৮৯৯টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন করা হয়েছে। যা অন্য যেকোন কোম্পানির চেয়ে বেশি।

আর গত ২৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিক মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৭তম নিয়মিত কমিশন সভায় এ কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়।

জানা যায়, কাম্পানিটিকে ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ৩ কোটি সাধারণ শেয়ার আইপিও এর মাধ্যমে ইস্যু করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ৩০ কোটি টাকা যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয় এবং কারখানা ভবন সম্প্রসারণ, মেয়াদী ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও বাবদ খরচ করবে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড।

আজকের বাজার/মিথিলা