আন্দে গোমেজকে ইনজুরির পর কান্নায় মাঠ ছাড়লেন সন

এভারটন ও সাবেক বার্সেলোনা মিডফিল্ডার আন্দ্রে গোমেজকে পার করতে হচ্ছে ভয়াবহ এক সময়। গুডিসন পার্কে টটেনহাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যাচ চলার সময় হিউং মিন সনের চ্যালেঞ্জে মাঠেই পা ভেঙে গেছে তার। সেই দৃশ্য দেখে সন আঁতকে উঠে কেঁদেই ফেলেছেন মাঠে। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছেন গোমেজ, আর লাল কার্ড দেখতে হয়েছে সনকে। আর ফলটা গৌণ হওয়া যাওয়া ম্যাচে এর পর দুই দল ড্র করেছে ১-১ গোলে।

মাঝমাঠে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন গোমেজ। তখন সন চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সার্জ অরিয়েরের সঙ্গে এর পর কিছুটা আঘাত পেয়ে বেকায়দায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করে ওঠেন গোমেজ। পায়ের হাড্ডি ততোক্ষণে ভেঙে বীভৎস এক রূপ নিয়েছে। সন নিজেও পড়ে গিয়েছিলেন, গোমেজকে দেখতে গিয়ে এর পর অবিশ্বাসে স্তব্ধ হয়ে যান তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে এভারটন খেলোয়াড়রাও এসে পরে সান্ত্বনা দিয়েছেন সনকে। আর অরিরিয়ের মাঠেই তখন শুরু করে দিয়েছিলেন প্রার্থনা। গুডিসন পার্কে ঘটনার আকস্মিকতায় তখন ফুটবল আর মুখ্য ছিল না কোনো দল বা দর্শকের কাছেই

রেফারি প্রথমে সনকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন, পরে ভিএআরের সিদ্ধান্তে সেটা বদলে পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত জানান রেফারি মার্টিন অ্যাটিকন্সন। লাল কার্ড দেখতে হয় সনকে। লম্বা একটা সময় খেলাও বিরত থাকে তখন। গোমেজ স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার সময় ঘরের সমর্থকেরাও সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছেন তাকে।

“সন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আমি গোমেজকে শুভকামনা জানাতে চাই, আপাতত তার দ্রুত সেরে ওঠাটাই আমাদের সবার কামনা”- ম্যাচ শেষে বলেছেন পচেত্তিনো।

ম্যাচে ডেলে আলির গোলে এগিয়ে ছিল টটেনহাম। ১২ মিনিট ইনজুরি সময়ের সপ্তম মিনিটে চেঙ্ক তসুনের গোলে জয় হাতছাড়া হয়েছে টটেনহামের। ম্যাচ শেষে ডেলে আলিকেও সনের অবস্থা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন ড্রেসিংরুমে কোনোভাবেই শান্ত করা যাচ্ছে না সনকে, “সন কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এটা আসলে ওর দোষ না। ওর মতো ভালো মনের মানুষ কমই আছে। ও এতোটাই ভেঙে পড়েছে যে মাথাও উঁচু করতে পারছে না, কেঁদেই যাচ্ছে।”