প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিলুপ্তির প্রজ্ঞাপন চেয়ে শাহবাগ মোড়ের অবরোধ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।
এ বিষয়ে সোমবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়েছেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ খান।
দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন ‘প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে টালবাহানা চলবে না, আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে শ্লোগানে চলছে শাহাবাগে কোটা সংস্কার আন্দোলন।’
আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন জানান, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকার চাইলে কোটা বাতিল কিংবা আমাদের পাঁচ দফার ভিত্তিতে কোটা সংস্কার করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর কয়েক দফায় আল্টিমেটাম শেষে গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা বিষয়ে শিগিগিরই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সোমবার (১৪ মে) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোটা নিয়ে আলোচনা (মন্ত্রিসভা বৈঠকে) হয়নি। কিন্তু কোটাটা প্রক্রিয়াধীন আছে, হয়তো কিছু দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। আমি যতদূর শুনেছি এর (কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন) সামারি (সার সংক্ষেপ) অলরেডি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে (প্রধানমন্ত্রীর কাছে) চলে গেছে। হয়তো আমরা শিগগিরই সিদ্ধান্ত পাব, ইনশাল্লাহ।’
গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।এই প্রজ্ঞাপনের দাবিতেই এখন আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
আজকের বাজার/আরআইএস
