আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই: জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিতর্ক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় এ তথ্য দিলেন।

ফেসবুকে জয় লিখেছেন, সবার অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, আমার কোনো বিদেশি পাসপোর্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি আছে। গর্বের সাথে আমার সবুজ বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই আমি যাতায়াত করি।

তিনি লিখেছেন, বিএনপি সম্পূর্ণরূপে একটি অসৎ দলে পরিণত হয়েছে। তাদের কোনো কথাই আর বিশ্বাসযোগ্য না।

উল্লেখ, গত শনিবার লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, লন্ডনে হাইকমিশনে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১২ সালে তারেক জিয়া তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছে। সে কীভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়?

এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে প্রমাণ দেখাতে না পারলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দেন। পরে দুপুরে তারেক রহমানের আইনজীবী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

ডাকযোগে তারেক রহমানের পক্ষে পাঠানো নোটিশে শাহরিয়ার আলমকে ১০ দিন সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে তারেক রহমান ‘নাগরিকত্ব বর্জন’ করেছেন প্রমাণ দেখাতে না পারলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।

কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারেক রহমান আমাকে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে বলেছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মনে করেন।

এরপর সোমবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার বাসায় পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে তার পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর অর্থ কী দাঁড়ায়? আমি মনে করি, এটি হচ্ছে নাগরিকত্বকে অস্বীকার করা।

শাহরিয়ার আলম এ সময় জানান, শুধু তারেক রহমান নন, তার স্ত্রী ও দুই মেয়েও তাদের পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন।

তারেক রহমানের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

এস/