আর ভুল করল না মুশফিক-রিয়াদ

২০১৬ সালের ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। ভারতের দেওয়া ১৪৭ রান টপকাতে বাংলাদেশের প্রয়োজন তিন বলে মাত্র দুই রান, ক্রিজে ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অথচ বড় শট খেলতে গিয়ে মিড উইকেট ধরা পড়েন মুশফিক, পরে রিয়াদও করলেন একই ভুল। শেষ বলে মুস্তাফিজ রান আউটে কাটা পড়লে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ১ রানে!

সেদিন বাংলাদেশ জিতলেই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হত শক্তিশালী ভারতকে। ক্রিকেট বিধাতা ভারত থেকে এভাবে মুখ ফিরিয়ে নিতে চাননি বলেই হয়তো সেদিন মুশফিক-রিয়াদের কাঁধে বড় শট খেলে নায়ক হওয়ার ভূত চেপেছিল। তবে বছর দুয়েক পর ক্রিকেট বিধাতা রিয়াদ মুশফিককে দিলেন পাপ মোচনের সুযোগ। দুহাত ভরে নিলেন দুজনে, জেতালেন আরও কঠিন এক ম্যাচ।

গতকাল (৩ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুশফিকের ৪৩ বলে ৬০ রান ও শেষদিকে রিয়াদের ফিনিশিংয়ে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে হারাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৪ রানের সমীকরণ আসার পরও এবার সাবধানী মুশফিক-রিয়াদ। স্ট্রাইক রোটেটে ম্যাচ টাই করে তবেই দলের জয়সূচক রানে ছক্কা হাঁকান রিয়াদ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পুরোনো ক্ষত মনে করিয়ে দিতেই মুশফিক বলেন, ‘যেকোন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে এমনটা। আপনি যখন ১০-১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন এমন দুই একটা ম্যাচ হতে পারে। এরপর (২০১৬ সালের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ) অনেক ক্লোজ ম্যাচই আমি ক্রিজে থেকে শেষ করে এসেছি। সুতরাং ওসব আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। শেষ ওভারে আমাদের চার রান দরকার ছিল। আমি রিয়াদ ভাইকে বলেছি দুই রান এক রান করে নিতে।’

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছেন উল্লেখ করে মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘আগেই বলেছি মানুষ মাত্রই ভুল, আপনি ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ। ওই ম্যাচের পর আমি বাংলাদেশের হয়ে কয়েকটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্লোজ ম্যাচ জিতিয়েছি। এটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, আমাকে অভিজ্ঞ করেছে এমন পরিস্থিতিতে কি করতে হয়।’

‘২০ তম ওভার শুরুর আগে আমি রিয়াদ ভাইয়ের সাথে আলোচনা করি, আমরা পরিষ্কার ছিলাম আমাদের কি করতে হবে সে সম্পর্কে। আমি রিয়াদ ভাইকে বলি দুই বা এক রান করে নিতে। উনিও অসাধারণ খেলেছেন (হাহাহহা)। আনন্দের বিষয় দুই বছর পর আমি এবং মাহমুদউল্লাহ ম্যাচ ফিনিশ করতে পেরেছি।’