ইনিয়েস্তার বিদায় ম্যাচে বার্সার জয়

বার্সেলোনার জার্সি গায়ে আর খেলবেন না ইনিয়েস্তা।বার্সেলোনার সঙ্গে ১৬ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। গতকাল রাতে বার্সেলোনার হয়ে শেষ ম্যাচে মাঠে নামেন বার্সা অধিনায়ক। সতীর্থরাও তাঁকে হতাশ করেনি। লা লিগায় মৌসুমে নিজেদের শেষ ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে ইনিয়েস্তার শেষ ম্যাচে জয় উপহার দিয়ে বিদায় দিয়েছে বার্সেলোনা।

ইনিয়েস্তার শেষ ম্যাচে লিওনেল মেসি ছিলেন বিশ্রামে। মেসিকে ছাড়াও বার্সেলোনা শিবির শুরু থেকেই ছিল বেশ গোছানো। ম্যাচের প্রথম সুযোগটি অবশ্য পায় প্রতিপক্ষ দল সোসিয়েদাদ। তবে গোলরক্ষক টার স্টেগান সে যাত্রায় রক্ষা করেন দলকে। পরের সুযোগটিই পেয়ে যান ইনিয়েস্তা। তাঁর জোরালো শট ব্যর্থ হলে গোলবঞ্চিত হয় স্প্যানিশ ক্লাবটি।

ম্যাচের ১৯তম মিনিটে উসমান ডেম্বেলের কর্নার ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়েও গোল করতে পারেননি জেরার্ড পিকে। সাত মিনিট পরই লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন ইভান রাকিতিচ।

বিরতির কিছুক্ষণ আগে ডেম্বেলেকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার রাউল নাভাস। রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন লুইস সুয়ারেজও। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে প্রথমার্ধ কেটে যায় গোলশূন্য ড্রতে।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় আর্নেস্তো ভালভার্দে শিবির। চমৎকার এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন ফিলিপ কুতিনহো। দুজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

এর ১০ মিনিট পরই কুতিনহোকে বসিয়ে মেসিকে নামান কোচ। মাঠে নেমেই দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেন মেসি। কিন্তু ডি-বক্সে ডেনিস সুয়ারেসের দুর্বল শট পরাস্ত করতে পারেনি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে।

ম্যাচের ৮১তম মিনিটে ইনিয়েস্তাকে উঠিয়ে নেন ভালভার্দে। মেসিকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরিয়ে শেষবারের মতো মাঠ ছাড়েন ইনিয়েস্তা। ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারকে শ্রদ্ধা জানাতে উঠে দাঁড়ায় পুরো ক্যাম্প ন্যু।

১৬ মৌসুমে কাতালান ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩২টি শিরোপা জিতে বিদায় নিলেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার।

চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করা বার্সেলোনা এই ম্যাচের জয়ের ফলে ২৮ জয় ও নয় ড্রয়ে ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষে।

লিগে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।

আরজেড/