ইরাকে কর্মসংস্থান ও মৌলিক সেবার দাবিতে বিক্ষোভ

ইরাকের রাজধানীতে কর্মসংস্থান ও মৌলিক সেবা পাওয়ার দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সমবেত হয়েছেন দেশটির বিক্ষোভকারীরা। এ অবস্থায় দেশজুড়ে উচ্চ সতর্কাবস্থার মধ্যে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করেছে সরকার। খবর আল জাজিরার।

শনিবার (১৪ জুলাই) রাতে প্রধানমন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ, হায়দার আল-আবাদি দেশজুড়ে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বাসরায় সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর নবম বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সমবেত হয়েছে।

শুক্রবার তেল-সমৃদ্ধ বাসরা শহরের স্থানীয়রা আমারা, নাসিরিয়া ও শিয়াদের পবিত্র শহর নাজাফ থেকে নিকটবর্তী বন্দর উম কাসরে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়। সেখানে বৃদ্ধি পেতে থাকা বিক্ষোভ দমাতে বাসরায় এত পরিমাণ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আবাদির সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরী বৈঠকের পর শনিবার বাগদাদে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে, শুক্রবার আরো ভালো সেবা ও কর্মসংস্থান চেয়ে এবং ইরানি হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে নাজাফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।

এছাড়া, মায়সান, ধি কার, বাসরা, নাজাফ ও কারবালাসহ নানা জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ইরান সংলগ্ন প্রদেশ মায়সামে রাতারাতি দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। রোববারের মধ্যে নিহতের সংখ্যা আরো একজন বৃদ্ধি পায়। আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন।

আজকের বাজার/একেএ