ইসির সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই: ফখরুল

বর্তমান ইসির সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২ মে) সকালে শ্রমিক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আগেও বলেছি বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছে পূরণে কাজ করছে। তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। উট পাখি যেমন ঝড় আসলে বালুর মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে মনে করে, তাদের ঝড় আঘাত করবে না। এ ইসির অবস্থা তেমন। তারা মনে করে নিরপেক্ষ নির্বাচন না করলে জনজোয়ার তাদের আঘাত করবে না।

ফখরুল বলেন, রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমাধান হওয়ার আগে তফসিল ঘোষণা কখনই জনগণ মেনে নিবে না। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একই বিষয় কাজ করছে। সরকার যে নির্দেশ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন তাই বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, তাদের নিজস্ব কোনো চিন্তাভাবনা নেই। জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণের যে নিয়ম রয়েছে, সেটিও তারা পালন করছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের সৃষ্টি। সরকার নিজেদের ইচ্ছে পূরণে তাদের পছন্দমতো লোক বসিয়েছে কমিশনে। যাতে আবারও একতরফা ভোট করে ক্ষমতায় আসতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা দরকার।

এ সময় ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার সব সময় চেষ্টা করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দলকে দূরে রেখে, খালেদা জিয়াকে বাহিরে রেখে একতরফা নির্বাচনের। কারণ আওয়ামী লীগ পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার জায়গা নেই। তারা নিশ্চিত বিরোধী দল নির্বাচনে গেলে তাদের ভরাডুবি হবে সে জন্য একতরফা নির্বাচনের জন্যই এ কমিশন গঠন করেছে। যাতে তাদের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু এটি কখনো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না আমরা আগেই বলেছি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, গাজীপুরের এসপি হারুনকে সরানোর জন্য আমরা চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের জোটের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে, এমনকি যিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব কারণে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটি মনে করার কোনো কারণ আমি দেখছি না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।

আরজেড/