উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ঘোষিত কঠোর কয়েকটি প্রস্তাব থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসার পর গতকাল সোমবার উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন অবরোধ আরোপে সম্মত হলো জাতিসংঘ। উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠতম এবং বড় ধরনের পরমাণু পরীক্ষার পর জাতিসংঘ নতুন করে এই পদক্ষেপ নিল।
এদিকে চীন ও রাশিয়া আগে অসম্মতি জানালেও গতকাল উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সায় দিয়েছে। কয়লা, সিসা এবং সামুদ্রিক খাবারের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব সমর্থনে জাতিসংঘে ১৫-০ তে ভোটাভুটি হয় বলে খবরে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার তেল রপ্তানিসহ নতুন করে আরও অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রস্তাবও জাতিসংঘে পেশ করে দেশটি।
গত আগস্টেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ং ইয়ং এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারে মার্কিন খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সায় দেয়। যার ফলে দেশটির কয়লা এবং লোহা রপ্তানি খাত ১০০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। তার আগে বিভিন্ন অবরোধ আরোপ করেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা যায়নি।
নিরাপত্তা পরিষদের এ সিদ্ধান্তের আগে পিয়ং ইয়ং একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বৃদ্ধি করা অব্যাহত রাখবে। সে ধারাবাহিকতায় গত জুলাই মাসে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করে দেশটি।
আগস্টের শুরুতে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রয়োজন পড়লে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যতম হলো প্রয়োজনমতো সেনাবাহিনী ব্যবহার। যদি আর কোনো উপায় না থাকে, তাহলে আমরা সেনাবাহিনী ব্যবহার করব।
আজকের বাজার : এমএম / ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
