এলপিজির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে লাফস গ্যাস

বাংলাদেশের এলপিজির চাহিদা পূরণে লাফস গ্যাস বাংলাদেশ লিমিটেড সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতির সম্মানে লাফস গ্যাস বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে নৈশ্যভোজে বক্তারা এ এমন মন্তব্য করেন।

লংকান এলপিজি কোম্পানি লাফস গ্যাস বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে নৈশ্যভোজে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিলা সিরিসেনাসহ শ্রীলঙ্কা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রীলংকার অর্থনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এছাড়া লাফস কোম্পানির বিভিন্ন দিকও তুলে ধরা হয়।

লাফস গ্যাস বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডব্লিউ কে. এইচ ওয়েগাপিটিয়া বলেন, ভোক্তার দোরগোড়ায় লাফস গ্যাস সহজলভ্য করার পাশাপাশি গুণগতমান ধরে রাখাই হবে আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে দেশীয়ভাবে সিলিন্ডার উৎপাদন করে সাশ্রয়ী মূল্যে যাতে গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া যায়। সে লক্ষ্যে নিয়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার তৈরির কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে লাফস গ্যাস বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, লাফস গ্যাস বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শ্রীলংকা বিশ্বের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা আইটি খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার মান উন্নত হচ্ছে। তাদের অর্থনীতিসহ সব দিক বাংলাদেশ অনুসরণ করে থাকে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এলপিজিকে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে সরকার। বিকল্প জ্বালানি হিসেবে আগামীতে এলপিজি গৃহস্থালিসহ যানবাহন ও শিল্প খাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাভি কারুনানায়েকে বলেন, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের ওপেন বর্ডার থাকবে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। লাফস গ্যাস একটি স্বনামধন্য কোম্পানি। এ কোম্পানিসহ অন্যান্য কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে।

বক্তব্য শেষে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।

আজকের বাজার:এলকে/ এলকে/ ১৪ জুলাই ২০১৭