ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ অস্ট্রেলিয়ার

বিদায়ী টেস্ট সিরিজের প্রথম দিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তার   সেঞ্চুরির সুবাদে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৮৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২১১ বলে ১৬৪ রানের অসাধারন ইনিংস খেলেন এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে যাওয়া  ওয়ার্নার।

পার্থে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। উসমান খাজাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওয়ার্নার। ১৮১ বল খেলে ১২৬ রানের সূচনা গড়েন খাজা-ওয়ার্নার।
৩০তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। উইকেটের পেছনে সরফরাজ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে  আউট হন ৬টি চারে ৯৮ বলে ৪১ রান করা খাজা।
খাজা ফেরার পর ক্রিজে ওয়ার্নারের সঙ্গী হন মার্নাস লাবুশেন। জুটিতে ৩৩ রান যোগ করার পর  ফাহিম আশরাফের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন লাবুশেন(১৬)।

চার নম্বরে নামা স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে ৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে ১১০তম টেস্টে ২৬তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করতে ১২৫ বল খেলেন তিনি।
ওয়ার্নারের সাথে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়ে পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার খুররাম শাহজাদের শিকার হন ৩১ রান করা স্মিথ। ওয়ার্নারের সাথে ৭৯ রান যোগ করেন তিনি। এই জুটি গড়ার পথে ব্যক্তিগত ১০৪ রানে শাহাজাদের হাতে জীবন পান ওয়ার্নার। চতুর্থ উইকেটে ট্রাভিস হেডের সাথে হাফ-সেঞ্চুরির জুটি গড়ার পথে দেড়শ রানে পা রাখেন তিনি। দেড়শতে পৌঁছাতে ১৯৬ বল খেলেছেন ওয়ার্নার।
৭৩তম ওভারের প্রথম বলে হেডকে ৪০ রানে থামিয়ে অভিষেক টেস্টে প্রথম উইকেট শিকার করেন আমির জামাল। ওয়ার্নার-হেড ৯৪ বলে ৬৬ রান যোগ করেন।

হেড ফেরার ১৫ বল পর ওয়ার্নারের ইনিংসের ইতি ঘটে। জামালের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ইমাম উল হককে ক্যাচ দেন ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২১১ বলে ১৬৪ রান করা ওয়ার্নার। এই ইনিংস খেলার পথে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রানের ম্যাথু হেইডেন (৮৬২৫) ও মাইকেল ক্লার্ককে  (৮৬৪৩) পেছনে ফেলেছেন ওয়ার্নার (৮৬৫১)। এছাড়াও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১হাজার রান পূর্ণ করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। ৬ টেস্টের ৮ ইনিংসে ১০০৯ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে  সবার উপরে ওয়ার্নার।

দলীয় ৩২১ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ওয়ার্নারের আউটের দিনের বাকী সময় আর কোন বিপদ হতে দেননি মিচেল মার্শ ও উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। মার্শ ১৫ ও ক্যারি ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। পাকিস্তানের জামাল ৬৩ রানে ২টি, আফ্রিদি-শাহজাদ ও আশরাফ ১টি করে উইকেট নেন। (বাসস)