ওয়াটলিংয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের লিড

বেন স্টোকস হয়তো আফসোস করছেন আর বলছেন, ‘ক্যাচটা যদি নিতে পারতাম!’

৩১ রানে বিজে ওয়াটলিংয়ের সহজ এক ক্যাচ ছেড়েছিলেন স্টোকস। জীবন পেয়ে সুযোগটা কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন ওয়াটলিং। এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে লিড নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

শনিবার টেস্টের তৃতীয় দিনের ৯০ ওভারে ইংল্যান্ডের বোলাররা উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র দুটি। এদিন নিউজিল্যান্ড তুলেছে ২৫০ রান। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৯৪ রান।

পুরো দিন ব্যাটিং করা ওয়াটলিং ২৯৮ বলে ১৫ চারে ১১৯ রানে অপরাজিত আছেন। মিচেল স্যান্টনার ১০৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত আছেন ৩১ রানে।

দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে ছিল ২০৯ রানে। তৃতীয় দিন শেষে সেই তারাই এখন এগিয়ে আছে ৪১ রানে, হাতে আছে ৪ উইকেট। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৫৩ রান।

বে ওভালে নিউজিল্যান্ড দিন শুরু করেছিল ৪ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে। প্রথম ঘণ্টা নিরাপদে পার করে দেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওয়াটলিং ও হেনরি নিকোলস। দ্বিতীয় ঘণ্টায় আক্রমণে ফিরে নিকোলসকে (১২৫ বলে ৪১) এলবিডব্লিউ করে ৭০ রানের জুটি ভাঙেন জো রুট।

এক বল আগে রুট পেতে পারতেন ওয়াটলিংয়ের উইকেটও। স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওয়াটলিং। কিন্তু সহজ ক্যাচটা নিতে পারেননি স্টোকস। সেটির চড়া মূল্যই দিতে হয়েছে ইংলিশদের।

জীবন পেয়ে ষষ্ঠ উইকেটে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের সঙ্গে ১১৯ রানের আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন ওয়াটলিং। চা বিরতির পর প্রথম বলে ডি গ্র্যান্ডহোমকে (১০৮ বলে ৬৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্টোকস। তবে এই উইকেটে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ডমিনিক সিবলির। গালিতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার।

স্যান্টনারকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন ওয়াটলিং। এর আগে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি। সপ্তম উইকেটে ৭৮ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন ওয়াটলিং ও স্যান্টনার।

আজকের বাজার/আরিফ